মেধাবী প্রজন্ম গঠনে আয়োডিন খুবই গুরুত্বপুর্ণ : শিল্পমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গঠনে আয়োডিনযুক্ত লবণ খুবই গুরুত্বপুর্ণ। সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১ ঃ অবহিতকরণ’ শীর্ষক এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভোজ্য লবণে আয়োডিনযুক্তকরণ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির খাদ্য তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের লবণ খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন-১৯৮৯ রহিত করে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও যুগোপযোগী আইন। এই আইনের আওতায় একটি জাতীয় লবণ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি লবণ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুদ ও বিক্রয়সহ ইত্যাদি বিষয়ে এবং লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ এবং ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ১৪ সদস্যের জাতীয় লবণ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল কার্যক্রমগুলো নজরদারি করবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশ্তাক হাসান ও বাংলাদেশে ইউনিসেফ’র প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

শিল্পসচিব বলেন, এই আইনে মানুষের জন্য ভোজ্য লবণ এবং প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত লবণে আয়োডিন না থাকলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তাছাড়াও বাংলাদেশে কেউ লবণ আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা পরিশোধন করতে চাইলে এখন থেকে এই আইনের অধীনেই নিবন্ধন নিতে হবে। কেউ যদি নিবন্ধন না করে তাহলে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্যাকেট বা লেবেলবিহীন ভোজ্য বা অভোজ্য লবণ বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধানও এই আইনে রাখা হয়েছে।