সমুদ্রতীরে ডলফিনের খেলা!

সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে ভোরের কুয়াশা ছেদ করে যখন সূর্যরশ্মি সাগরের নীল জলে পড়ে, সেইসময় সমুদ্র উপকূলের কাছে এসে আপন মনে খেলা করে তারা

কক্সবাজারের সমুদ্রতীরে আবারও দেখা মিলেছে ডলফিনের। এবার নিরিবিলি পরিবেশে নয় মানুষের কোলাহলে বিচরণ করছে ডলফিনগুলো। সৈকত তীরে ডলফিনের খেলায় আনন্দে মেতে উঠেছে পর্যটকরা।

কক্সবাজার অঞ্চলে শীত শুরু হতেই সমুদ্রে ডলফিনের পাল দলবেঁধে খেলায় মেতেছে। সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টের মাঝামাঝি সমুদ্র সীমানায় সূর্যের রশ্মিতে কয়েকটি ডলফিনকে খেলা করতে দেখা গেছে।

এর আগে সর্বশেষ করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনচলাকালে যখন সমুদ্রসৈকত বন্ধ ছিল তখন ডলফিনের নাচ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার শীতের শুরুতে অদূর সমুদ্রে দলবেঁধে দাপাদাপি করছে ডলফিনগুলো।

শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ নভেম্বর) ভোরে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টের কিছুদূর সমুদ্রে ডলফিনের খেলা দেখেন পর্যটকরা।

তারা জানান, ভোরের কুয়াশা ছেদ করে যখন সূর্যরশ্মি সাগরের নীল জলে পড়ে, লোকজনের আনাগোনা কম থাকায় ডলফিনগুলো সমুদ্রকূলের কাছে এসে আপন মনে খেলা করে। কখনও দু’একটা আবার কখনও দলবেঁধে সাগরজলে খেলায় মেতে উঠছে এই স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো।

বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, “কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও মহেশখালীর বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে দুটি ডলফিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। একেকটি পরিবারে ১০-১২টির বেশি ডলফিন থাকে। সাগরে মূলত তারা দলবেঁধে চলাফেরা করে। বর্তমানে চ্যানেলগুলোতে প্রতিনিয়ত তাদের দেখা মেলে। যেহেতু নিরিবিলি স্থান পছন্দ করে, সেহেতু সাগরের জনমানবহীন নীরবতার সুযোগে লাবনী পয়েন্টে চলে এসেছে ডলফিনগুলো।”