উইটসা ও অ্যাসোসিও লিডারশিপ পুরস্কার দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে

আবুল বাশার নূরু: দেশের বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গণ থেকে মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিটি পুরস্কারই গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সর্বশেষ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নেতৃত্বদান এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্যভুক্ত সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিকখ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার লাভ করেছেন। শুধু শেখ হাসিনাই নন তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এবছরের ‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ’ পুরস্কার পেয়েছেন। এ দু’টি পুরস্কার খুবই মর্যাদাপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও তার দৌহিত্র আবারও সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, শেখ হাসিনা শুধু এই পুরস্কারই না, অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরকার পেয়েছেন। এসব পুরস্কার সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যদা বৃদ্ধি করেছে। তিনি তার প্রতিটি পুরস্কারই দেশবাসীরকে উৎসর্গ করেছেন। এটি বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পুরস্কারের ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন জাতীয় সংসদের সামনে বিশাল প্যান্ডেলে। দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এই পুরস্কার পেয়েই তা দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছিলেন।

আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অবদান রাখছেন। এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি। বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করায় মেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য একই সঙ্গে সারাবিশ্বের অবহেলিত জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এই পুরস্কার প্রাপ্তি তারই স্বীকৃতি। শেখ হাসিনা যে পুরস্কারটি পেলেন এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। তাই এই পুরস্কার খুবই মর্যাদাপূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে আজ রোল মডেল। এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি। তিনি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এখন সারাবিশ্বে পরিচিত। জয়ের হাত ধরেই বাংলাদেশ তথ্য ও প্রযুক্তিতে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। এই করোনা মহামারিকালে দেশবাসী তথ্য ও প্রযুক্তির সুফল পেয়েছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পরিবর্তন ও অবদানের জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জয়ের এই পুরস্কার দেশের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে। তারা উৎসাহ পাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা এখন কেবল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন তিনি বিশ্বেও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বে মর্যাদার আসনে দাঁড় করিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করেছেন শেখ হাসিনা।

১৩ নভেম্বর উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নেতৃত্বদান এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্যভুক্ত সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি ২০২১ (ডব্লিউসিআইটি২০২১) এর তৃতীয় দিনে গত শুক্রবার উইটসা মহাসচিব ড. জেমস এইচ পয়জান্টের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) এ বছরের পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পরিবর্তন ও অবদানের জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।

শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি ২০২১ (ডব্লিউসিআইটি)’ এর দ্বিতীয় দিনে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের ২৪টি দেশের সংস্থা অ্যাসোসিও এ পুরস্কার দেয়।