সোনালি ঐতিহ্যে ফিরেছে বাংলার মসলিন। ফলে শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া হচ্ছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) এ তথ্য জানিয়েছেন। বিকেলে রূপগঞ্জের তারাব এলাকার ঢাকাই মসলিন হাউজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ তাঁতবোর্ডকে মসলিনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছিল। এরপর মসলিনের ঐতিহ্য খুঁজে বের করে আনা হয়। বর্তমানে মসলিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মসলিন শাড়ি দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ জাদুঘরে যে শাড়িটি পাওয়া গিয়েছিল সেটা ছিল ৫০০ কাউন্ট । এখন কাজ করতে করতে আমরা ৭০০ কাউন্টে পৌঁছে গেছি। আমাদের পক্ষে এখন সুপার মসলিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। তবে কিছুটা কষ্ট হলেও ৫০০ কাউন্টে তৈরি করতে আমাদের কোনো বেগ পেতে হবে না। তাই ঐতিহ্য থেকে আরও কিভাবে ভালো করা যায় সেটার চেষ্টা আমরা করছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই মসলিনের কাজ করতে করতে আমরা একদিন বাণিজ্যিকে পৌঁছে যাব। বিশ্ববাজারে যেতে আমাদের আর বেশি সময় লাগবে না। এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এই টেকনোলজি রপ্ত করতে পেরেছি। তাই এই রপ্ত করা জিনিসটি যদি আমরা বেসরকারি খাতে দিতে পারি তাহলে তারা দ্রুতই বাণিজ্যিকভাবে বিশ্ব বাজারে যেতে পারবে। আমরা ইতোমধ্যে শাড়ি তৈরি করে সফলতা পেয়েছি।’
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। মসলিনের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নানসহ অন্যান্যরা।