চুল সুন্দর রাখতে ঘরোয়া নানা উপায় বেছে নেই আমরা। চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় হিসেবে ডিমের কুসুমের ব্যবহার বেশ পরিচিত। তবে চুলের যত্নে এটি কতটা কার্যকরী তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকে। আবার অনেকের ধারণা, ডিমের কুসুম চুলে ব্যবহার করা একদমই ঠিক নয়। তাহলে জেনে নিন, ডিমের কুসুম চুলের জন্য আসলেই উপকারী কি না-
চুলের আগা ফাটা সারাতে ডিমের কুসুম কি উপকারী?
কাঁচা ডিমের গন্ধ আপনার পছন্দ নাই হতে পারে, কিন্তু এটি চুলের জন্য খুবই উপকারী। প্রোটিনে ভরপুর ডিমের কুসুমে আরও আছে ফলেট, বায়োটিন, ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এসব উপাদান চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রাণহীন চুলের প্রাণ ফেরাতে ভিটামিন ই কার্যকরী।
ডিমের কুসুম ও অলিভ অয়েল
শীত আসতে শুরু করেছে। এসময় আবহাওয়ার প্রভাবে চুল স্বাভাবিকভাবেই রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই চুলের আগা ফাটার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যাদের মাথার ত্বক ও চুল বেশি শুষ্ক তারা ডিমের কুসুমের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি কুসুমের সঙ্গে দুই টেবিল চামচের মতো অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পুরো চুলে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। ঘণ্টাখানেক রেখে তারপর কোমল কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করুন। এতে চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর হবে।
ডিমের কুসুম ও দই
চুলের আগা ফাটার সমস্যা হলে চুলের উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে। দ্রুত চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে চাইলে ডিমের কুসুম ও দই একসঙ্গে ব্যবহার করুন। দুটি ডিমের কুসুম ও তিন-চার টেবিল চামচ টক দই নিন। এরপর ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। তবে এই মিশ্রণ মাথার তালুতে ব্যবহার করবেন না। এভাবে আধা ঘণ্টা রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে একদিন এভাবে ব্যবহার করলে উপকার মিলবে দ্রুত।
মেয়োনিজ ও ডিমের কুসুম
চুলের আগা ফাটা সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। নানা উপাদান ব্যবহার করেও এই সমস্যার সমাধান পান না অনেকে। এক্ষেত্রে কাজ করতে পারে ডিমের কুসুম। এক টেবিল চামচ মেয়োনিজ ও একটি ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ চুলের আগায় ভালোভাবে মেখে নিন। মিনিট বিশেক রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুই-তিনবার এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এভাবে ব্যবহার করলে মাসখানেকের মধ্যেই দূর হবে চুলের আগা ফাটার সমস্যা।