রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় ষোষণা করেন। খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, রেইনট্রি হোটেলে শিক্ষার্থী ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক ঘটেছে। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি বলে তাদের খালাস দেওয়া হলো।
এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মামলায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামিকে আদালতে আনা হয়। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে। আদালতের হাজতখানা থেকে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হয়।
গত ২৭ অক্টোবর ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য ছিল। তবে ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কারণে রায় হয়নি। এজন্য এই মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে ১১ নভেম্বর ধার্য করা হয় বলে জানান সংশ্নিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পিপি আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ১২ অক্টোবর নির্ধারণ করেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত। দুই তরুণীকে ধর্ষণের আলোচিত এই মামলার পাঁচ আসামি হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিব ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ। ঘটনার পর ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।