ঘানার উপকূলে সপ্তাহান্তে জলোচ্ছ্বাসে ভোল্টা অঞ্চলে ৫ শতাধিক ঘর-বাড়ি ভেসে যাওয়ার ফলে প্রায় ৪,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খবর এএফপি’র।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পশ্চিম আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘানায় অনেকেই ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি ও জীবিকা পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
ঘানার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র জর্জ আয়িসি বুধবার এএফপিকে জানান, রোববার ভোরে এখানে জলোচ্ছাস হয়েছে। কেটা জেলায়, ১,৫৫৭ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে ও ২৩৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আনলোগা জেলায়, ১,৩৯৪ জন বাস্তুচ্যুত ও ১৩৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং কেতু সাউথ অঞ্চলে ১,০২৭ জন বাস্তুচ্যুত ও ১৪৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “কিছু বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অন্তত একটি স্কুল ও একটি কবরস্থানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আয়িসি বলেছেন, “এটি এই বছরের তৃতীয় জলোচ্ছ্বাস, তবে এটি ছিল সবচেয়ে তীব্র। ঘানার প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার (৩৪০ মাইল) বিস্তৃত একটি উপকূলরেখা রয়েছে। দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ সমুদ্রের ধারে বসবাস করে।
কেটা অঞ্চলের স্থানীয় কর্মকর্তা ইমানুয়েল গেমেগাহ এএফপিকে বলেন, বাস্তুচ্যুতদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন.“সরকার খাদ্য, বস্ত্র, সাবান এবং মশারির মতো প্রয়েজিনীয় জিনিস সরবরাহ করেছে।”