দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিদ্যমান বিজ্ঞাপনের মূল্য থেকে শতকরা ৩০ ভাগ দর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো। সোমবার রাজধানীর বনানীতে এসএফবিএল টাওয়ারে নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের এ সংগঠনটি বলেছে, বহুজাতিক কোম্পানিসহ অন্য বিজ্ঞাপনদাতারা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের দর কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেক চ্যানেলকে বিজ্ঞাপনদাতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ২০ থেকে ৩০ ভাগ বিজ্ঞাপন দর কমিয়ে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রুবানা হক। উপস্থিত ছিলেন অ্যাটকো নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মাহফুজুর রহমান, টিপু আলম, আহমেদ জুবায়ের প্রমুখ।
অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বিজ্ঞাপনের দর নিয়ে মালিকদের আশঙ্কার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা শুনেছি বিজ্ঞাপনদাতারা ২০-৩০ ভাগ দর কমাবেন। এ ধরনের আঘাত এলে চ্যানেল টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এটা হবে আমাদের জন্য একটি খারাপ সংবাদ। করোনার কারণে গত দেড় বছর দুরবস্থার মধ্যে কাটিয়েছে টেলিভিশন শিল্প। এ সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমরা। এরপর যখন সংবাদ আসে বিজ্ঞাপনের দর কমিয়ে দেওয়া হবে, সেটা এ শিল্পের জন্য অশনিসংকেত। এটা কোনোভাবেই আমরা মেনে নেব না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আজকের সভা থেকে বিদ্যমান বিজ্ঞাপন দর থেকে ৩০ ভাগ বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। আমরা আশা করছি বিজ্ঞাপনদাতারা ৩০ ভাগ দর বৃদ্ধির বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনায় নেবেন।
অ্যাটকো সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন সচল হচ্ছে, তখন বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত টেলিভিশন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করব অন্তত ৩০ শতাংশ বিজ্ঞাপনের দর বাড়াবেন বিজ্ঞাপনদাতারা। করোনাকালে আমরা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তা যেন কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারি। সংকট সৃষ্টি না করে নতুন করে একে-অন্যের সহযোগী হিসেবে অবদান রাখতে পারি।
অ্যাটকো নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রুবানা হক বলেন, করোনাকালের বিগত দুই বছর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। এখন সবার বাঁচা-মরার প্রশ্ন। আমাদের বিপদে ফেলে কারও লাভ হবে না। সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ৩০ ভাগ হারে দর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।