ই-কমার্স ইস্যুতে গ্রাহক আস্থা তৈরিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স এ্যাসাসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ই-কমার্স সেক্টরের সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা প্রবাহের আলোকে সৃষ্ট সমস্যা ও তার সমাধানের মাধ্যমে ক্রেতার আস্থা ফিরিয়ে আনতে ও কাংখিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের নিয়ে সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, শুরু থেকেই এই খাতে নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়ে কাজ করে আসছে উদ্যোক্তারা। যোগাযোগ ও ডিজিটাল অবকাঠামাতে আমাদের যে পরিমাণ উন্নতি হয়েছে তার চেয়ে বেশী প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ই-কমার্স খাতে থেকে। এর কারণ মুলত সঠিক সেবা দেয়া। করেনাকালীন সময়ে সেবার মাধ্যমে যে আস্থা ও বিশ্বাস এ খাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীরা তৈরী করেছে সেটা কোনোভাবে নষ্ট হতে দিতে চায়না ই-ক্যাব। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে নীতিমালা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে এবং ক্রেতাদের সঠিক ও মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে ক্রমাগত প্রবৃদ্ধিতে আমরা ফিরে আসতে পারব।
তিনি আরও বলেন, ঝুকিপূর্ণ ব্যবসা পদ্ধতির কারণে শুধু যে ক্রেতা এবং মার্চেন্টরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা নয়। বরং নেতিবাচক বার্তাও ছড়িয়ে পড়েছে এতে করে এই খাতে যে বিদেশী বিনিয়োগ আসার সম্ভবনা তৈরী হয়েছে তা এখন অনিশ্চিতার মুখে পড়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে ব্যবসা করছে যাদের সফলতার গল্প আছে সেগুলোও তুলে আনা প্রয়ােজন।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এখনাে এই খাত লাভের মুখ দেখেনি। তারপরও একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গত দেড়বছর কর্মীরা সেবা দিয় গেছে। ই-বাণিজ্যের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি ও দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছে ই-কমার্স খাত তা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, এই খাতের প্রতি ক্রেতার আস্থা ও ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আমরা সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। এ ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এর উল্লেখ করে তমাল বলেন, সদস্যদের সাথ নিয়ে আমরা সরকারের সাথে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ই-কমার্স আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে নতুন আইন ও নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষ সৃষ্টি না করে প্রচলিত আইন সংশোেধন ও মনিটরিং এর কথা বলা হয়। এছাড়া ডিজিটাল কমার্স সেল এর সক্ষমতা বাডিয়ে, ইউবিআইডি, সেন্ট্রাল কমপ্রেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্র্যাকিং প্লাটফর্ম তৈরী করার মাধ্যমে এই খাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের বিষয় তুলে ধরা হয়। বর্তমানে গেটওয়ে আটকে থাকা অর্থ ছাড়, ডিজিটাল মার্কেটিং ৩০% ভ্যাট রহিতকরণ অন্যান্য সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারকে অনুরোধ ও সহযোগিতার আহ্বান জানানাে হয়।