কার্বন নিঃসরণ কমাতে একমত ১৩৪ দেশ

রোববার পর্যন্ত জাতিসংঘরে সহযোগী সংস্থা ইউএনএফসিসির সাইটে বাংলাদেশসহ ১৩৪ টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৪টি দেশ। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘরে সহযোগী সংস্থা ইউএনএফসিসির সাইটে বাংলাদেশসহ ১৩৪ টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

সচিব বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমি রক্ষা, নতুন বনায়ন, বনাচ্ছাদন, বন-সম্প্রসারণে বদ্ধপরিকর জানিয়ে গত ২৬ আগস্ট আমাদের এনডিসি জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউএনএফসিসিতে আপলোড করে দিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশের এই তথ্য ইউএনএফসিসি’র ওয়েবসাইটে যথাসময়ে আপলোড না হওয়ায় ৪ নভেম্বর গণমাধ্যমে বিভ্রান্তকর তথ্য পরিবেশন করে বলা হয়, বাংলাদেশ বনভূমি রক্ষা, বন সৃজন প্রক্রিয়ার বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে নেই।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, “তথ্যটি সঠিক ছিল না। এ বিষয়ে কোনো দেশ চুক্তি করে নি। এসব দেশ ঐক্যমত পোষণ করেছেন, তেমনি বাংলাদেশও এই ঐক্যমতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। কিন্তু সিস্টেমের কারণে ইউএনএফসিসির ওয়েবসাইটে প্রথমে বাংলাদেশের নাম তালিকায় ছিল না। পরে গতকাল বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। এরকম ভাবে আরও দেশের নাম সংযুক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে তালিকা প্রকাশ হতে পারে।”

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও প্রধান বন সংরক্ষক মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমি ১৬% থেকে বাড়িয়ে ২০% এবং বনায়ন ২২% থেকে ২৫%-এ উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সাথে বন রক্ষা, নতুন নতুন বন-সৃজনে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য ড.কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ জানান, দেশের সংবিধানেই বন রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা আছে। সেই আলোকে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সে লক্ষ্যে বন রক্ষায় সবার ঐক্যের সাথে বাংলাদেশও একমত। ২৬তম কপ সম্মেলনে বিশ্বের বনভূমি রক্ষা করা এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পৃথিবীর বন রক্ষায় ঐক্যমতে আসে বাংলাদেশ সহ ১৩৪ টি দেশ। এই সংখ্যা পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে।