সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সকালে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে ‘গুজব থেকে দূরে থাকুন, সত্য জানার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে দিয়ে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
“ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কিছু তথ্য: গুজব থেকে দূরে থাকুন-সত্য তথ্য জানুন” শিরোনামে ফেসবুক ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এ বছরের জুন মাসে লিটার প্রতি ২ টাকা ৯৭ পয়সা, জুলাই মাসে ৩ টাকা ৭০ টাকা, আগস্টে ১টাকা ৫৮ পয়সা, সেপ্টেম্বরে ৫ টাকা ৬২ পয়সা ও অক্টোবরে ১৩ টাকা ০১ পয়সা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৭.৬০ কোটি টাকা। একইসাথে ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে এ মাসে ৮৫ টাকা ৭৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।”
তিনি লিখেছেন, “এ অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর ফলে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়।”
প্রতিবেশী দেশগুলোর তথ্য তুলে ধরে জয় লেখেন, “ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২.৩৯ নেপালি রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। এ কারণে আবার চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে।”
“সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এর ফলে এদেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
সম্প্রতি দেশে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।”
তার অভিযোগ, “প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি তিন টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর গত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি।”