মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা বলেছেন, বাল্যবিয়ে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। নারীর ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছে। কোনো মেয়ে যেনো বাল্যবিয়ের স্বীকার না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।
শনিবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান ও জাতীয় সময়বায় দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের নিশ্চয়তা দেন ও নারীর ক্ষমতায়ন সুসংহত করেন। এরই ধারবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জাতিসংঘের ৭৫ তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মস্থলে নারীর কর্মসংস্থান ৫০:৫০ উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমাতায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছেন।
নারীর ক্ষমতায়নে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করছে। তথ্য আপা প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি নারীকে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে। দেশের ৬৪ টি জেলায় শিক্ষিত নারীকে কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, তৃণমূল পর্যায়ের ২ লাখ ৫৬ হাজার প্রান্তিক নারীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বহু উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের ডিসি কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, যুগ্মসচিব ফেরদৌসী বেগম, মুন্সীগঞ্জের এসপি আব্দুল মোমেন ও গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গজারিয়ার ইউএনও জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।
