ডিজিটাল লেনদেনের নথি ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে অন্তর্ভূক্তির সিদ্ধান্ত

ডিজিটাল লেনদেনের নথি ও দলিল ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে উপনিবেশিক আমলের আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ পাসের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৈঠকে কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মো. আব্দুস শহীদ, কাজী নাবিল আহমেদ ও রুমানা আলী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, ১৮৯১ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে গত ১৪ জুন ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। আগে ব্যাংকের লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হলেও নতুন বিলটি পাস হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে সব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিলে বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত কারণ ছাড়া কোন ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো গ্রাহততথ্য প্রকাশ করলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবেবলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে। এছাড়া বিলে তথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্র ও আদালতের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।

এদিকে বিদ্যমান হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন আইন সংশোধনে আনা বিলে বলা হয়েছে, করপোরেশনের কাছ থেকে কেউ যদি ঋণ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জেনে শুনে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনে যেকোনও ধরনের জামানত গ্রহণে প্রবৃত্ত হন, তাহলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।