লিন্ডসে এলান চেইনি ও তার প্রতিষ্ঠান ইউসেপ মানবসেবায় নিবেদিতভাবে নিয়োজিত থাকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সমগ্র জীবন বাংলাদেশের মানবতার সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার কার্যক্রম তিনিই প্রথম শুরু করেছিলেন। দ্রুত উন্নয়নের জন্য কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত ইউসেপ কাজ করে চলেছে। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মক্ষম জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ইউসেপ।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরে ইউসেপ প্রধান কার্যালয়ে ‘ইউসেপ দিবস ২০২১’ এবং ইউসেপের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এলান চেইনির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৭২ সালে লিন্ডসে এলান চেইনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসেপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদার সহযোগিতা তিনি লাভ করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ঢাকার সেগুনবাগিচায় ইউসেপের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কম মূল্যে অফিস বরাদ্দ দিয়েছিলেন। যে পথশিশুরা সেদিন এই সহযোগিতা পেয়েছিল, তারা নিজ প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে আজ সমাজ ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।
ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী বক্তব্য রাখেন। ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আবদুল করিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ইউসেপ নেপালের সাধারণ সম্পাদক অজয় সিং কারকি ও ইউসেপ বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারপার্সন উজমা চৌধুরী সিপিএ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ইউসেপ বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারপার্সন এবং ভাইস চেয়ারপার্সনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।