আফগানিস্তানে ডলারসহ বিদেশি সব মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে তিন মাস আগে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া কট্টরপন্থি গোষ্ঠী তালেবান। এক ঘোষণায় তালেবান বলেছে, “অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের জাতীয় স্বার্থে সব ধরণের বাণিজ্যে সব আফগান নাগরিকের আফগানি মুদ্রা ব্যবহার করা প্রয়োজন।
“ইসলামিক আমিরাতের (তালেবান আফগানিস্তানকে এ নামেই ডাকে) সব নাগরিক, দোকানদার, ছোট-বড় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে এখন থেকে সব লেনদেন আফগানি মুদ্রায় করতে এবং বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যারা এ নির্দেশ অমান্য করবে তাদেরকে আইনী ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে, অনলাইনে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কাছে থাকা আফগানিস্তানের কোটি কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করে রাখে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেও আফগানিস্তান বড় ধরনের সংকটে পড়েছে। এর আগে বিদেশ থেকে আসা অনুদানই দেশটির সরকারি ব্যয়ের তিন-চতুর্থাংশ মেটাত।
আফগানিস্তানের বাজারগুলোতে মার্কিন ডলারের চল রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা সীমান্তসহ দেশটির বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায়ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহৃত হয়ে আসছে।চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে বলে গত মাসে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তেমনটা হলে দেশটির লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে এবং তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হবে, বলেছে তারা।