টেলিকম খাতের অর্জন এখন ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, সংবাদ সারাবেলা ডট কম

ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের অভিযাত্রায় জল-স্থল-অন্তরীক্ষে দেশের টেলিকম খাতের অর্জন এখন ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান। একথা বলেছেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে বিটিসিএল এর ভূমিকার প্রশংসা করেন মন্ত্রী।

বিটিসিএল কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর একদিনে ১৫২টি ভিডিও কনফারেন্স ত্রুটিহীনভাবে সম্পন্ন করার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার ও দেশের জনগণ বিটিসিএল বা টেলিটকের কাছে আরও অনেক বেশি প্রত্যাশা করে। মন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিসিএল সম্মেলন কক্ষে বিটিসিএল এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স এর মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: আফজাল হোসেন, বিটিআরসির চেয়ার‌ম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অ্যাস।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০০৮ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনা‘র ঘোষণাকে ডিজিটাল দুনিয়ায় একটি ঐতিহাসিক নজির উল্লেখ করে বলেন, তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করা বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে কেউ ভাবতে পারেনি, বরং এ নিয়ে অনেকে বিদ্রুপ কেরেছে। পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণা লাভ করার বহু আগেই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের সকল পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাড়িয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি ও সেবাতেও আজ বাংলাদেশ বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। বেতবুনিয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিইউ এর সদস্য পদ লাভ এবং টিএন্ডটি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তা চারা গাছে পরিণত করেছেন। গত ১২ বছরে তা বিরাট মহিরূহে রূপ নিয়েছে । কম্পিউটারে বাংলা ভাষার জনক মোস্তাফা জব্বার বিটিসিএল ও বাংলালিংকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ অগ্রগতির আরও একটি মাইলফলক।

ডিজিটাল সংযুক্তি ও সেবা সংক্রান্ত এই চুক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল মহাসড়ক গড়ে তুলতে মোবাইল অপারেটরসহ টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে যে কোন সহযোগিতা প্রদানে তার সরকার বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ অগ্রযাত্রায় বিটিসিএল বাংলালিংক চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বিটিসিএল ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটর টেলিটক, গ্রামীণফোন ও রবিকে বিভন্ন টেলিকম সেবা প্রদান করে আসছে।এনটিটিএন রিসোর্স শেয়ারিং, আইআইজি ব্যান্ডউডথ ও ডাটা কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বিটিসিএল দেশের সমস্ত মোবাইল অপারেটর, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্পোরেট সেক্টরে মানসম্মত সেবা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলালিংকের সাথে এই সব সেবা সংক্রান্ত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।

বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলালিংক সিইও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি মন্ত্রী প্রত্যক্ষ করেন।