হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলায় শীতের হাওয়া ইতোমধ্যেই বইতে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে কুয়াশাও। ফলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। বাসে যাত্রীও হচ্ছে কম। এছাড়া, নিম্ন আয়ের মানুষজন শীতের দাপটে যেতে পারছেন না কাজে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে তাদের।
অন্যদিকে, দিনাজপুর শিশু হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। নিউমানিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে দুই হাসপাতাল প্রায় ১৫০ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মহিদ্র জানান, শিশুদের পরিষ্কার গরম কাপড় পরানো উচিত। এ সময় তাদের নাক-কানে ঠাণ্ডা লাগানো উচিত নয়।
এদিকে, শীত বাড়ার সঙ্গেই দিনাজপুরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে শীতের কাপড় বিক্রি হওয়ায় শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, দেধের কিছু জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় দিনাজপুরে তার প্রভাব পড়েছে। রবিবার (১৪ নভেম্বর) তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসর আর্দ্রতা ৯৭% রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে, শীতের প্রকোপ বাড়লেও এ মাসে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।