জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
বুধবার রাতে রাজধানীর দারুসসালাম থানাধীন মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার আব্দুল্লাহ আল নোমান নব্য জেএমবির সামরিক শাখার একজন দায়িত্বশীল সক্রিয় সদস্য। আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির ২০১৮ সালে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। এক বছর ৬ মাস পরে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও নব্য জেএমবি’র সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয় সে।’
সে মূলত নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে জন এর নির্দেশে সামরিক শাখার কাজ করতো। ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় এবং ফেসবুকে সদস্য সংগ্রহসহ উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করতো সে। সে টেলিগ্রাম চ্যানেল ও বটের মাধ্যমে নব্য জেএমবি’র অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো।’
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সংগঠনের অপর সদস্য আবু মোহাম্মদ এর নির্দেশে নোমান ঢাকার মান্ডা এলাকায় এককভাবে রুম ভাড়া করে থাকতো। আবু মোহাম্মদ আইইডি বানানোর ভিডিও টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে তাকে পাঠাতো। আইইডি তৈরির ভিডিও দেখে আইইডি তৈরি করতো নোমান। নোমানকে আইইডি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দেওয়া হতো। এই নির্দেশ পাওয়ার পর পল্টন এলাকাটি তার পূর্বপরিচিত এবং চাকরির স্থান হওয়ায় সে ওই স্থানটি বেছে নেয়। ২০২০ সালের ২৪ জুলাই সে তার তৈরি আইইডি পুরানা পল্টন মোড়ের পূর্ব পাশে পুলিশ চেকপোস্টের সামনে ল্যাম্পপোস্টের নিচে রেখে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছিল।’
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ডাকাতদলের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বেলা সোয়া ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে আয়োজিত অপর এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।