শীতে ত্বক হয়ে পড়ে কালচে ও শুষ্ক। এসময় ত্বক ও ঠোঁটের দরকার বাড়তি যত্ন। নরম ও গোলাপি ঠোঁট সবারই পছন্দের। তাই ঠোঁটের কালচে দাগ বা ছোপ তুলতে স্ক্রাবিংয়ের বিকল্প নেই। ঠোঁট খসখসে হলে, ফেটে গেলে কিংবা চামড়া উঠে গেলে দেখতে ভালোলাগে না নিশ্চয়ই। কোমল ও গোলাপি ঠোঁট কে না পেতে চায়! আর সেজন্য প্রয়োজন স্ক্রাবিং।
স্ক্রাব করলে ত্বক ও ঠোঁট নরম হয়। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হয়। সেইসঙ্গে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও ঠোঁট আর্দ্র থাকে। সামান্য স্ক্রাব করে লিপস্টিক ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ঠোঁটে থাকে।
জেনে নিন ঠোঁট স্ক্রাব করার আরও কিছু উপকারিতা-
* নিয়মিত স্ক্রাব করলে তা ঠোঁটকে নরম করে তোলে।
* ফাটা ঠোঁট ঠিক করতে সাহায্য করে।
* ঠোঁটকে হাইড্রেটেড রাখে, ফলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হয়।
* ঠোঁটে লিপস্টিক পরলে অল্প সময়েই ছড়িয়ে পরার ভয় থাকে। কিন্তু নিয়মিত স্ক্রাবং করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* ঠোঁটের শুষ্কতা থেকে মুক্তি দিয়ে এটি সতেজ রাখতে সাহায্য করে স্ক্রাব।
ঠোঁট কীভাবে স্ক্রাব করবেন
শুধু স্ক্রাব করলেই হবে না, কীভাবে স্ক্রাব করলে তা সঠিক হবে তা জেনে নেওয়াও জরুরি। ঠোঁট স্ক্রাব করার আগে এর সঠিক ব্যবহার জেনে নিতে হবে। এটি মোটেও কঠিন কোনো পদ্ধতি নয়। বরং বেশ সহজ। সেজন্য মোট পাঁচটি ধাপই যথেষ্ট। জেনে নিন সেই ধাপগুলো-
* লিপস্টিক পরা থাকলে বা ঠোঁটে কোনো ধরনের প্রসাধনী থাকলে তা প্রথমে মুছে ফেলতে হবে। এরপর আলতো হাতে ঠোঁট ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
* এবার অল্প করে ঠোঁটের স্ক্রাব নিয়ে তা ঠোঁটের উপরে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
* এরপর খুব সাবধানে আস্তে আস্তে ঠোঁট স্ক্রাব করতে হবে। মিনিট পাঁচেক এভাবে স্ক্রাব করুন।
* স্ক্রাবিং হয়ে গেলে তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্ক্রাবটি ভালোভাবে মুছে ফেলুন। এরপর ঠোঁট ধুয়ে নিন।
* এরপর ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিন। স্ক্রাবের ক্ষেত্রে ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।